জয় নিতাই গৌর হরি বল । জয় নিতাই গৌর হরি বল । জয় নিতাই গৌর হরি বল । জয় নিতাই গৌর হরি বল । জয় নিতাই গৌর হরি বল । জয় নিতাই গৌর হরি বল । জয় নিতাই গৌর হরি বল ।
Categories
জীবন ও লীলা কাহিনী

শ্রী শ্রী অচুতানন্দ ব্রক্ষচারী’র (অনিল বাবাজীর) জীবন ও লীলা কাহিনী ( পর্ব -১০)

ইংরেজ ভক্তের আহ্বানে ইস্কনের মন্দির দর্শন

১৯৭৭ সনে বাবাজী শ্রী কমল মিত্র বাবুর ঢাকাস্থ বাসভবনে অবস্থান করছিলেন । বিকেলের দিকে কিভাবে সংবাদ পেল জানা নেই,৪ জন ইংরেজ সনাতন ধর্ম অনুসারি ইস্কনের ভক্ত কমল মিত্রের বাসায় এসে হাজির হল , এবং তারা বাবাজীকে তাদের মন্দিরে যাবার অনুরোধ করল । ইংরেজ ভক্তগন বাবাজীকে স্বামীজি বলে সম্বোধন করলো । বাবাজী ৬ জন ভক্ত সহ তাদের সাথে ঢাকার তেজকুনি পাড়ায় ইস্কনের মন্দিরে যান ।সেখানে ভক্তদের সাথে নানান ধর্ম আলাপের মাঝে ইংরেজ ভক্ত দেয়ালে টানানো একটা ছবির ব্যাখ্যা শুনতে চেয়ে অনুরোধ করলেন । ছবির পাশে কৃষ্ণ বলরাম –অর্জুন এবং অন্য পাশে শুভদ্রা ।বাবাজী বললেন ,ছবিতে কৃষ্ণ বলরামকে বলতেছে, বাড়াবড়ি করার দরকার নেই দাদা, অর্জুনের সাথে সুভদ্রার বিবাহ দিয়ে দাও । এটা পূর্ব জন্মের ঠিক করা তাদের যোগসূত্র । বাবাজীর ব্যাখ্যা শুনে ইংরেজ ভক্তগন মোহিত হয়ে বাবাজীকে প্রনামসহ নানা ভাবে শ্রদ্ধা প্রদর্শন করতে লাগলেন । বাবাজী প্রায় ৩-৪ ঘন্টা উক্ত মন্দিরে ছিলেন । উল্লেখ্য যে বাবাজী ভক্ত সহ একাধিকবার ভারতে ইস্কনের সববৃহৎ তীর্থস্থান মায়াপুরে যান ।

জয় নিতাই গৌর হরি বল

Categories
জীবন ও লীলা কাহিনী

শ্রী শ্রী অচুতানন্দ ব্রক্ষচারী’র (অনিল বাবাজীর) জীবন ও লীলা কাহিনী ( পর্ব -০৯)

বাবাজীর প্রতি হাজার ভক্তের প্রণাম

বাবাজী ১৯৮৬ সনে তার দুই ভক্ত স্বপন বাবু ও ক্ষিতীষ বাবুসহ ঢাকার নবাবগঞ্জে যান কীত্তনের জন্য দল ঠিক করতে । তখন নবাবগঞ্জে কীত্তন চলছিল । বাবাজী কীত্তনের আসরে বসে একনিষ্ঠ মনে নাম শ্রবণ করছিলেন । নবাবগঞ্জের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শ্রী হরবিলাশ বাবু বাবাজীর দর্শনে বিহ্বলিত হয়ে পরেন এবং তার চরণধূলি নেবার ভীষণ ইচ্ছা জাগ্রত হয় । বাবাজীর দর্শনেই তিনি ব্যাকুল হয়ে পড়েন, অত:পর সকল দ্বিধা-দন্দ্ধ ভুলে তিনি আসরে বাবাজীর কাছে যান এবং তার মনের ইচ্ছা ব্যাক্ত করেন । বিনীত ভাবে অনুরোধ করেন বাবাজী যেন মন্দিরের পাশে যেয়ে বসে চরণ সেবার সুযোগ দেন । ভক্তের আকুল প্রার্থনায় বাবাজী কথামত মন্দিরের পাশে যেয়ে বসেন । হরবিলাশ বাবু বাবাজীকে সাষ্টাঙ্গে প্রনাম জানিয়ে অত্যান্ত ভক্তি ভরে তার চরণ সেবা করে চরণধূলি নেয় । দেখাগেল মোহিত হয়ে হাজার হাজার ভক্তবৃন্দ বাবাজীকে প্রণাম করতে লাগল । অনেকেই বলতে লাগল এরকম মহাপুরুষের দরর্শনে তাদের জীবন সার্থক হলো ।

জয় নিতাই গৌর হরি বল

Categories
জীবন ও লীলা কাহিনী

শ্রী শ্রী অচুতানন্দ ব্রক্ষচারী’র (অনিল বাবাজীর) জীবন ও লীলা কাহিনী ( পর্ব -০৮)

পিতা-মাতা কতৃক বাবাজীর বিবাহ চেষ্টা বিফল

বাবাজী শৈশব থেকেই সম্পত্তি ও সংসারে প্রতি উদাসীন ছিলেন । ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান, ধর্মীয় গ্রন্থাদী ও ধর্ম কথায় বেশ আসক্ত ছিলেন । তার পিতা-মাতা চিন্তিত ছিলেন যে কখন এ ছেলে সংসার ত্যাগী হয়ে যায় । তাই মেট্রিক পাশের পর বাবাজীকে বিবাহ করানোর জন্য উপযুক্ত মেয়ে দেখাশুনা শুরু করল , অবশেষে জনৈক বৈদ্য বাবুর এক কন্যার সাথে পিতা-মাতা বিবাহের সন্বন্ধ ঠিক করেন । বিবাহের সংবাদে বাবাজী অস্থির হয়ে পড়েন । তিনি চিন্তা করেন কিভাবে বিবাহের এই আয়োজন বন্ধ করা যায় । তার বড় মাসতুতো দাদা জগদীশ বাবুকে বললো আপনি একটু আমার ধর্মের কাজে সহায়তা করবেন । আপনি মা-বাবাকে বলেন তারা যেন আমাকে বিবাহ না করান । আপনি বললে মা-বাবা শুনবে , তারা আপনার কথা মান্য করে । কথামত জগদীশ বাবু তার মাসি মেসোকে বলেন । মাসি কথা শুনেই হাউমাউ করে কেদে ওঠল । সাবিক বিবেচনা করে পরবর্তীতে বাবাজীর পিতা-মাতা বিবাহ না করানোর জন্য রাজী হলেন । কন্যা পক্ষকে ও তা জানিয়ে দিলেন । এরপর থেকে বাবাজীকে বিবাহ করানোর ব্যাপারে পিতামাতা কোন চেষ্টা করেন নাই । এবং তার ধর্ম কাজে ও কোন বাধা দিলেন না ।ভগবানের সান্নিধ্য লাভের প্রবল ইচ্ছাই ছোটবেলা থেকেই বাবাজীর বিবাহ ও সংসারের প্রতি অনীহা ছিল তাই সারা জীবন ব্রক্ষচারী থেকে ঈশ্বরের আরাধনা করে থাকেন ।

জয় নিতাই গৌর হরি বল

Categories
জীবন ও লীলা কাহিনী

শ্রী শ্রী অচুতানন্দ ব্রক্ষচারী’র (অনিল বাবাজীর) জীবন ও লীলা কাহিনী ( পর্ব -০৬)

বাবাজীর হতে মার খেলেন অজিত ব্রক্ষচারী

বাবাজী কোথাও গেলে আশ্রমে প্রভুর ভোগ দিত অজিত ব্রক্ষচারী । আজ থেকে প্রায় অনেক বছর পূর্বে (সম্ভবত:১৯৮৪/৮৫সনে)একদিন বাবাজী অজিত ব্রক্ষচারীকে আশ্রমের ভোগ দেবার দায়িত্ব দিয়ে অন্যত্র গেলেন । নিয়মিত ভাবে আশ্রমে তিনটি ভোগ দেয়া হতো ,কিন্তু ভুলে অজিত ব্রক্ষচারী দুইটি ভোগ দেয় । ৩ দিন পর বাবাজী আশ্রমে এসেই প্রভুর কষ্ট দেখে ব্যথিত হলেন । তৎক্ষণাৎ তিনি অজিত ব্রক্ষচারীকে ডেকি বলেন, প্রতিদির কয়টি ভোগ দেয়া হয়েছিল ? অজিত ব্রক্ষচারী তার ভুল বুঝতে পারল । তিনি ভয়ে ভয়ে উত্তর দিল ৩টি । বাবাজী তিন বার প্রশ্নে একই উত্তর দেয় । সাথে সাথে বাবাজী একটি লাঠি নিয়ে তাকে মারভর করলো তুই মিথ্যে বলছিস ,২টি ভোগ দিয়েছিস যার ফলে প্রভু আমার ৩ দিন যাবৎ উপোস রয়েছে । বলতে বলতে বাবাজী ্ও তার শিষ্য প্রভুর কষ্টের ব্যথায় কেদে দিলেন ।

জয় নিতাই গৌর হরি বল

Categories
জীবন ও লীলা কাহিনী

শ্রী শ্রী অচুতানন্দ ব্রক্ষচারী’র (অনিল বাবাজীর) জীবন ও লীলা কাহিনী ( পর্ব -০৭)

বৃটিশ সেনাবাহিনীতে চাকুরী গ্রহণ ও চাকুরী ত্যাগ প্রসংগ

কোলকাতা প্রেসিডেন্সী কলেজে বি.এ. ক্লাসে পড়াবস্থায় হঠাৎ করে পড়াশুনা বন্ধ করে সেনাবাহিনীর কমান্ডার পদে চাকুরীতে প্রবেশ করেন ।বাবাজী সুঠাম দেহের কারনে ঐ গুরুত্বপূন পদে চাকুরী পান । ঐ পদে বাঙালী দের সংখ্যা খুবই কম ছিল । চাকুরী অবস্থায় তিনি পাঞ্ছাবে কিছুদিন ট্রেনিংদেন । ট্রেনিং দিয়ে তাদের কে ভীষণ হিংস্র বানানো হতো । বিভিন্ন খাবারের ও ট্রেনিং এ মাধ্যমে মানবিক দিকগুলো নষ্ট করে দিতো , বাবাজীর চাকুরীর প্রতি মন উঠে গেলো কিন্তু কি করা য়ায় এখান থেকে উদ্ধার পাওয়া খুব কঠিন ।অবশেষে একদিন জনৈক পাঠান বোস অফিসারের সহায়তায় ভীষণ গোপনীয় ভাবে জীবন বাজী রেখে কৌশলে চাকুরী থেকে পলায়ন করে দেশে ফিরে আসেন ।

অনেক দিন বাবাজী বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে বেরান । অবশেষে বাবাজী ভারতের বধমান গোলসীতে তার মেঝ ভাই হররাল দের বাড়িতে আশ্রয় নেন । এদিকে তিনি প্রায় এক বছর অতিবাহিত করেন ।রাষ্ট্রীয় পট পরিবতনে খোজার চাপ অন্তে আন্তে বন্ধ হয়ে গেলো । পলাতক অবস্থায় বাবাজী একান্ত নিভৃতে ঈশ্বরেরই সাধনা শুরু করে দেন । নিয়মিত ভাবে গীতা পাঠ সহ বিভিন্ন ধমীয় গ্রন্থাদি পড়াশুনা করেন ।

জয় নিতাই গৌর হরি বল

Categories
জীবন ও লীলা কাহিনী

শ্রী শ্রী অচুতানন্দ ব্রক্ষচারী’র (অনিল বাবাজীর) জীবন ও লীলা কাহিনী ( পর্ব -০৫)

খোলাচ্ছলে বাল্য সাথীদের নিকট মহিমাপ্রকাশ

বাবাজী স্বরুপ আশ্রমের মন্দিরের পেছনের মাঠে তার বাল্য সাথীদের নিয়ে খেলাধূলা করতো । যৌবনকালে সন্ন্যাস গ্রহনের পর একদিন খোলার সময় জ্যোতি বাবু সহ ৯/১০ জন সাথী নিয়ে আলাপ করছিল । আলাপের এক পর্যায়ে হঠাৎ করে বাবাজী মাঠে শুয়ে পড়ে সাথীদের বলে যে, তোরা আমাকে উঠাতো । ৯/১০ জন মিলে শত চেষ্টা করেও উঠাতে ব্যার্থ হয় । তাদের মনে হল পৃথিবীর সমস্থ ওজন তার শরীরে ভর করেছে ।সাথীদের দিকে তাকিয়ে একটু হাসি দিলেন এবং বললেন তোরা পারবিনে । বাবাজীর ঐ মুখের হাসিতে সকলেই কভিভূত হয়ে ব্যর্থ হবার কষ্ট ভুলে গেলেন । কিন্তু সারা জীবনেও ভুলতে পারেনি বাবাজীর মুখের সেই মহিমান্বিত হসি ।

জয় নিতাই গৌর হরি বল

Categories
জীবন ও লীলা কাহিনী

শ্রী শ্রী অচুতানন্দ ব্রক্ষচারী’র (অনিল বাবাজীর) জীবন ও লীলা কাহিনী ( পর্ব -০৪)

আজন্ম লালিত কৃষ্ণ ভক্তি, শিশুকাল থেকেই ছিল কৃষ্ণ নামে আসক্ত

বাবাজী যখন শিশু অবস্থায় কোলে কোলে থাকতো তখন থেকেই কৃষ্ণ নামের প্রতি তার একটা টান দেখা যেত ।বিভিন্ন সময়ে যখন শিশু অবস্থায় কান্না করতো তখন কেহই সেই কান্না চেষ্টা করেও থামাতে পারত না । দেখা যেত তার মা কোলে নিয়ে যখনি কানের কাছে মুখ রেখে কৃষ্ণ নাম নিতে তখনই কলের কাঠির মত তার কান্না থেমে যেতো ।

তাছাড়া বাল্যকাল থেকেই বাবাজী মিথ্যা কথা বলা বা শোনা থেকে বিরত থাকতো ।সঙ্গী সাথীদের নিয়ে মাঠে খেলার ছলে কৃষ্ণলীলা ও র্কীত্তন করতো । দলে বাবাজী সব সময়েই নেতার ভূমিকা পালন করত । তিনি ছিলেন খেলার মধ্যমনি । আবার ভীষণ দুরন্ত ও চটপটে প্রকৃতির ছিল । তাকে রেখে কখনো খেলা জমতো না । ছোট সময় থেকেই মা-বাবা ও গুরুজনের আদেশ মান্য করতেন । পিতা-মাতাকে দেবতা জ্ঞানে শ্রদ্ধা করতেন ।

জয় নিতাই গৌর হরি বল

Categories
জীবন ও লীলা কাহিনী

শ্রী শ্রী অচুতানন্দ ব্রক্ষচারী’র (অনিল বাবাজীর) জীবন ও লীলা কাহিনী ( পর্ব -০৩)

সাধনার পর নানান সাধু-সন্ন্যাসীর আগমন

বাবাজীর ৯ মাস সাধনা সমাপনের পর দেখা গেল বিভিন্ন প্রকৃতির বহুসাধু-সন্ন্যাসী বাবাজীর নিকট আসতো । নিভৃত নির্জনে তারা নানান আলাপ করতো, কোন সন্নাসীই ২/১ দিনের বেশি থাকত না । কারণ কোথাও ৩ রাতের বেশি থাকলে মায়া হয়ে যেতে পারে । কোথা থেকে যে তারা ঠিকানা পেত একমাত্র ভগবানই জানেন । সন্ন্যাসী যাবার সময় পাশে যারা ছিল( যেমন -জগদিশ বাবু, দেবেন মাস্টার) প্রমুখ তাদের বলে যন , উনি একজন পরম পুরুষ ,সাধারন নয় , তোমরা অবহেলায় তাকে হারিয়ো না । মনের আনন্দে সন্ন্যাসীদের সাথে বাবাজী আলাপ করতো। নানান প্রশ্ন করতো , সহজ উত্তরে তাদের মনের সন্দেহ চলে যেতো । সন্নাসীদের যাবার সময় বাবাজী অনেক দূর পর্যন্ত এগিয়ে দিতেন ।

জয় নিতাই গৌর হরি বল

Categories
জীবন ও লীলা কাহিনী

শ্রী শ্রী অচুতানন্দ ব্রক্ষচারী’র (অনিল বাবাজীর) জীবন ও লীলা কাহিনী ( পর্ব -০২)

বাবাজীর দীঘ নয় মাসের অনাহারী ও বাকসংযম সাধনা

বাবাজী পড়াশুনা ও চাকুরী ছাড়ার পর কোলকাতায় এক বছরাধিকাল থাকার পর পুনরায় বাংলাদেশের শম্ভুপুর বাড়ীতে আসেন ।(১৯৫২-১৯৫৩সালের দিকে) এদিকে আসার পরে প্রতি নিয়তই তার পরিবতন দেখা যায় ।মাছ, কখনো আর খাবে না বলে চিরতরে ছেড়ে দেয় । পোশাকে ও পরিবতন এলো, গায়ে বহিবস ও পড়নে কাপড় তাছাড়া বেগ না নিতেই ডোর-কেীপিন পরিধান করত ।সব সময়েই ধম-কম আলোচনায় ব্যস্ত থাকতেন ।সংসারের প্রতি উদাসীন ভাবে প্রকট হয়ে পড়ে । কোলকাতা থেকে আসার পর পরই সাবাই তাকে সাধু আখ্যা দেয় । চারিদিকে অনিল সাধু নামে পরিচিত হয়ে পড়েন ।

অবশেষে একদিন শুরু করল অনাহারী ও বাক্য সংযম সাধনা ।ভারতের সাধক ও মহাপুরুষদের জীবনে এ সাধনার ইতিহাস দেখা যায় । বাবাজী ও উপযুক্ত হলো এবং ঈশ্বরের আশীবাদে শুরু করলো কঠোর সংযম ও ভগবানের সাধনা । বাড়ীর পেছনে ঝোপ –জঙ্গলের মাঝে খালি বসে দিন রাত চব্বিশ ঘন্টাই একই ভাবে ধ্যানে মগ্নাবস্থায় ইষ্ট নাম জপ করতো ।দিবসের প্রখর রৌদ্র তাপ, রাতের ঠান্ডা,বষার বৃষ্টি তার গায়ের উপর দিয়ে যেত কিন্তু তিনি একই ভাবে ধ্যানেমগ্ন ।

দীঘ নয় মাস এমনি ধ্যানাবস্থায় নাম জপে মগ্ন থাকতেন । দীঘ নয় মাসে শুধুমাত্র জগদিশ বাবু ছাড়া আর কারো সাথে কথা বলেন নাই । তার মা-বাবার কোন খবরা-খবর থাকলে জগদীশ বাবুর মাধ্যমেই জানাতেন ।
অনাহরী ধ্যানমগ্ন বাবাজীর দেহক্রমে শুকিয়ে যেতে লাগলো এক পযায়ে শরীর হাড্ডি চমসার হয়ে পড়লো । এ অবস্থায় বাবাজীর মা-বাবা ভীষণ চিন্তিত হয়ে পড়লো, কান্নাকাটি করতে লাগলো এক পযায়ে বাবাজী বললো তার জন্য কোন প্রকার ভাবনা না করতে, তিনি মাছ মাংসের দেহটা নষ্ট করে দিবে । বিভিন্ন দেব দেবী, ঋষিরা এসে আমাকে পাহারা দিচ্ছে ভয় নাই, তাদের সামান্য প্রসাদেই আমার হয়ে যায় ।বিশেষ করে শ্যামা মা এসে আমার সকল সমস্যা দূর করে দেয় ।

তথাপি ও মায়ের মন ,মা-বাবার অনুরোধ দুই মাসাধিককাল পর বাবাজীর সামনে দুধের বাটি রেখে আসা হতো । সকালে রাখা হতো সন্ধ্যায় যেমনি বাটি তেমনিই দুধ ভতি অবস্থায় নিয়ে আসা হত । তবে জানাযায় সামান্য তুলসি পাতা ও দুবাদলের অগ্রভাগ খেয়ে থাকত ।

দীঘ নয় মাসের সাধনা কালে অনেক ভাগ্যবান ভক্ত অকে বিস্ময়কর ঘটনা দেখেছেন ।জগদিশ বাবু প্রতিদিন মাঠে যাওয়া-আসার সময় সাধন কুটীরের দিকে লক্ষ্য রাখতেন । একদিন মাঠ থেকে আসার সময় দেখলেন একটি বিষাক্ত পানক সাপ বাবাজীর প্রায় এক হাত পেছনে ফণা ধরে রয়েছে । বাবাজী পূবমূখী হয়ে ধ্যানবস্থায় বসা । আওয়াজ দিলে সাপটি কামড় দিতে পারে আবার ধ্যান ভঙ্গের অপরাধ এভাবে প্রায় দেখে তিনি বিচলিত হয়ে পড়েন , অবশেষে সাপটির নজর জগদিশ বাবুল ওপর পড়ার সাথে সাথে ফনা নামিয়ে উত্তর দিকে চলে গেল । কিছুক্ষন পর বাবাজী ধ্যান ভংগ করে জগদিশ বাবুর দিকে তাকিয়ে বললো কি চান, সাপের কথা বলাতেই বাবাজী বলল এটা নিয়মিত অসে, আমাকে পাহারা দেয় কেউ যেন একে না মারে । উল্লেখ্য যে ,আরও ২/৩ জনেও সাপ দেখেছে বলে জানা যায় ।

জয় নিতাই গৌর হরি বল

Categories
জীবন ও লীলা কাহিনী

শ্রী শ্রী অচুতানন্দ ব্রক্ষচারী’র (অনিল বাবাজীর) জীবন ও লীলা কাহিনী ( পর্ব -০১)

বাবাজীর বংশ ও জন্ম পরিচয় বৃত্তান্ত

বরিশাল বিভাগের ভোলা জেলার তজুমদ্দিন থানার শম্ভুপুর ইউনিয়নের স্বরূপ আশ্রমের প্রতিষ্ঠাতা স্বগীয় স্বরূপ মজুমদার হলো বাবাজীর মাতামহ । স্বরূপ মজুমদারের ৩ কন্যা ,(কিশোরী দে, সত্যবতী দে, ও পরশমনি দে,) কোন পুএসন্তান ছিলনা । ভাগ্যবতী পরশমনি দেবী ও স্বামী প্রসন্ন দে এর চার পুত্র সন্তান এবং দুই কন্যা । ছোট ছেলে অনিল দে (প্রভুপাদ শ্রী শ্রী অচুতানন্দ ব্রক্ষচারী বাবাজী) বাল্যকাল হতেই পরশমণি দেবী মহাপ্রভুর একনিষ্ঠ ভক্ত ছিল । প্রভুর বাল্য ভোগের ব্যবস্থা নিয়মিত করতেন, সারাদিনই আশ্রমে থাকতেন এবং প্রভুর বাল্যভোগ না দিয়ে কখনো কিছু গ্রহন করতো না ।

একদিন ভোরে আশ্রমের উঠান কুড়ানোর সময় তিনি দৈব বাণী শুনেন,পেছর থেকে দেবতা বলছে-‘পরশমনি তুইতো আমাকে কিছু দিলি না’ উত্তরে তিনি বললেন রুপার চূড়া দেব । প্রভুর মাথায় চূড়া দেবার কিছুদিন পর আবার দৈব বাণী শুনলো, চূড়া দিয়েছিস কিন্তু মাথায় ঠিকমত বসেনি । পরশমনি দেবী দেখলেন ঠিকতো চূড়াটি মাথায় ঠিক বসেনি । তিনি সহসাই মাথার চূরাটি ঠিক করে দিলেন । কিছুদিন পর পরশমনি দেবী আবার দৈব বাণী শুনলেন, দেবতা বলছে ,আমি সন্তষ্ট হয়েছি , ধৈয্য ধরো, আমিও তোকে একটা জিনিস দেবো-তুই ধন্য হবি ।এর কিছুদিন পরেই পরশমণি দেবীর গভে এল বাবাজী ।

নোয়াখালী থেকে পরিচয়হীন এক জ্যোতিষী হঠাৎ একদিন স্বরুপ আশ্রমে এসে পরষমণি দেবীর হাত দেখে বলেন যে, তোমার কোলে এমন একজন শিশু জন্ম নেবে যে তোমার পিতৃকূল ,মাতৃকূল সহ অসংখ্য মানুষ উদ্ধার করবে । জন্ম থেকেই তার প্রতি সকলের সনোযোগ হবে এবং দলে দলে লোক তার কাছে আসবে ।

অবশেষে বাংলা ১৩৩৮ সালর ৩রা কাতিক মঙ্গলবার অষ্টমী তিথি, রোহিনী নক্ষত্রে , সিংহ রাশি শম্ভুপুর স্বরূপ আশ্রমে জন্ম গ্রহন করলেন প্রভুপাদ শ্রী শ্রী অচ্যুতানন্দ ব্রক্ষচারী(অনিল বাবাজী) । ধন্য পরশমণিদেবী,ধন্য শম্ভুপূরবাসী ,ধন্য সবাই ।

জয় নিতাই গৌর হরি বল