জয় নিতাই গৌর হরি বল । জয় নিতাই গৌর হরি বল । জয় নিতাই গৌর হরি বল । জয় নিতাই গৌর হরি বল । জয় নিতাই গৌর হরি বল । জয় নিতাই গৌর হরি বল । জয় নিতাই গৌর হরি বল ।
Categories
জীবন ও লীলা কাহিনী

শ্রী শ্রী অচুতানন্দ ব্রক্ষচারী’র (অনিল বাবাজীর) জীবন ও লীলা কাহিনী ( পর্ব -০২)

বাবাজীর দীঘ নয় মাসের অনাহারী ও বাকসংযম সাধনা

বাবাজী পড়াশুনা ও চাকুরী ছাড়ার পর কোলকাতায় এক বছরাধিকাল থাকার পর পুনরায় বাংলাদেশের শম্ভুপুর বাড়ীতে আসেন ।(১৯৫২-১৯৫৩সালের দিকে) এদিকে আসার পরে প্রতি নিয়তই তার পরিবতন দেখা যায় ।মাছ, কখনো আর খাবে না বলে চিরতরে ছেড়ে দেয় । পোশাকে ও পরিবতন এলো, গায়ে বহিবস ও পড়নে কাপড় তাছাড়া বেগ না নিতেই ডোর-কেীপিন পরিধান করত ।সব সময়েই ধম-কম আলোচনায় ব্যস্ত থাকতেন ।সংসারের প্রতি উদাসীন ভাবে প্রকট হয়ে পড়ে । কোলকাতা থেকে আসার পর পরই সাবাই তাকে সাধু আখ্যা দেয় । চারিদিকে অনিল সাধু নামে পরিচিত হয়ে পড়েন ।

অবশেষে একদিন শুরু করল অনাহারী ও বাক্য সংযম সাধনা ।ভারতের সাধক ও মহাপুরুষদের জীবনে এ সাধনার ইতিহাস দেখা যায় । বাবাজী ও উপযুক্ত হলো এবং ঈশ্বরের আশীবাদে শুরু করলো কঠোর সংযম ও ভগবানের সাধনা । বাড়ীর পেছনে ঝোপ –জঙ্গলের মাঝে খালি বসে দিন রাত চব্বিশ ঘন্টাই একই ভাবে ধ্যানে মগ্নাবস্থায় ইষ্ট নাম জপ করতো ।দিবসের প্রখর রৌদ্র তাপ, রাতের ঠান্ডা,বষার বৃষ্টি তার গায়ের উপর দিয়ে যেত কিন্তু তিনি একই ভাবে ধ্যানেমগ্ন ।

দীঘ নয় মাস এমনি ধ্যানাবস্থায় নাম জপে মগ্ন থাকতেন । দীঘ নয় মাসে শুধুমাত্র জগদিশ বাবু ছাড়া আর কারো সাথে কথা বলেন নাই । তার মা-বাবার কোন খবরা-খবর থাকলে জগদীশ বাবুর মাধ্যমেই জানাতেন ।
অনাহরী ধ্যানমগ্ন বাবাজীর দেহক্রমে শুকিয়ে যেতে লাগলো এক পযায়ে শরীর হাড্ডি চমসার হয়ে পড়লো । এ অবস্থায় বাবাজীর মা-বাবা ভীষণ চিন্তিত হয়ে পড়লো, কান্নাকাটি করতে লাগলো এক পযায়ে বাবাজী বললো তার জন্য কোন প্রকার ভাবনা না করতে, তিনি মাছ মাংসের দেহটা নষ্ট করে দিবে । বিভিন্ন দেব দেবী, ঋষিরা এসে আমাকে পাহারা দিচ্ছে ভয় নাই, তাদের সামান্য প্রসাদেই আমার হয়ে যায় ।বিশেষ করে শ্যামা মা এসে আমার সকল সমস্যা দূর করে দেয় ।

তথাপি ও মায়ের মন ,মা-বাবার অনুরোধ দুই মাসাধিককাল পর বাবাজীর সামনে দুধের বাটি রেখে আসা হতো । সকালে রাখা হতো সন্ধ্যায় যেমনি বাটি তেমনিই দুধ ভতি অবস্থায় নিয়ে আসা হত । তবে জানাযায় সামান্য তুলসি পাতা ও দুবাদলের অগ্রভাগ খেয়ে থাকত ।

দীঘ নয় মাসের সাধনা কালে অনেক ভাগ্যবান ভক্ত অকে বিস্ময়কর ঘটনা দেখেছেন ।জগদিশ বাবু প্রতিদিন মাঠে যাওয়া-আসার সময় সাধন কুটীরের দিকে লক্ষ্য রাখতেন । একদিন মাঠ থেকে আসার সময় দেখলেন একটি বিষাক্ত পানক সাপ বাবাজীর প্রায় এক হাত পেছনে ফণা ধরে রয়েছে । বাবাজী পূবমূখী হয়ে ধ্যানবস্থায় বসা । আওয়াজ দিলে সাপটি কামড় দিতে পারে আবার ধ্যান ভঙ্গের অপরাধ এভাবে প্রায় দেখে তিনি বিচলিত হয়ে পড়েন , অবশেষে সাপটির নজর জগদিশ বাবুল ওপর পড়ার সাথে সাথে ফনা নামিয়ে উত্তর দিকে চলে গেল । কিছুক্ষন পর বাবাজী ধ্যান ভংগ করে জগদিশ বাবুর দিকে তাকিয়ে বললো কি চান, সাপের কথা বলাতেই বাবাজী বলল এটা নিয়মিত অসে, আমাকে পাহারা দেয় কেউ যেন একে না মারে । উল্লেখ্য যে ,আরও ২/৩ জনেও সাপ দেখেছে বলে জানা যায় ।

জয় নিতাই গৌর হরি বল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *